তিন দিন (৭২ ঘণ্টা) বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার ভোর থেকে এ ধর্মঘট পালন করছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু ওয়াহিদ মোহাম্মদ রায়হান।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচস্ট্যান্ড থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে সব পরিবহনের বাস আগের নিয়মে চলাচল করবে বলে জানা গেছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ভোর থেকে বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ পাঁচ দফা দাবিতে অঘোষিত ধর্মঘট শুরু হলে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। কিন্তু সৃষ্ট দুর্ভোগের দায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকপক্ষের কেউই নিতে রাজি হননি। বরং উভয়পক্ষের ছিল পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও মহানগর পুলিশের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে জরুরি বৈঠকে অঘোষিত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু ওয়াহিদ মোহাম্মদ রায়হান জানান, দীর্ঘ আলোচনা শেষে মোটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে। তারা সবাই বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাগামী বাস চলাচলে একমত হন। এরপর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে রাতে রংপুর থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার কিছু বাস বন্ধ থাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জরুরি সভায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) মো. আবু বকর সিদ্দীক, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেনহাজুল আলম, বিআরটি এর সহকারী পরিচালক ফারুক আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ, জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।